উত্তরঃ ঈমান মানে বিশ্বাস। যে বিষয়ে সরাসরি জ্ঞান নেই, অথচ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে পরোক্ষ জ্ঞানের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তার নাম ‘ঈমান’। বিস্তারিত….
প্রশ্নঃ ইবাদত শব্দের অর্থ কি? ইবাদত কাকে বলে?
উত্তরঃ আবদ মানে গোলাম বা দাস। ইবাদত শব্দটির উৎপত্তি ঐ আবদ শব্দ থেকে। যার অর্থ গোলামী করা বা দাসত্ব করা। বিস্তারিত…
প্রশ্নঃ ইসলাম অর্থ কি?
উত্তরঃ
১. ইসলাম আরবী শব্দ-যার অর্থঃ আত্মসমর্পণ করা, কোন কিছু মাথা পেতে নেয়া। নিজের ইচ্ছা বা মর্জি অনুযায়ী না চলে আল্লাহর হুকুম মতে চলার জন্য তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করার নাম ‘ইসলাম’। বিস্তারিত…
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলন কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য যে নিয়ম-কানুন দিয়েছেন, সেই নিয়ম-কানুন সমাজে চালু করা বা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সব কাজ করতে হয়, তার নাম ইসলামী আন্দোলন। এক কথায় আল্লাহর পথে চূড়ান্ত ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোই ইসলামী আন্দোলন।
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তরঃ
১. আল্লাহ তাঁর নবীদের মাধ্যমে এ দুনিয়ায় ইসলাম পাঠিয়েছেন এজন্য যে, দুনিয়ায় যে সকল নিয়ম-কানুন চলছে, নবীরা তা বন্ধ করে আল্লাহর দেয়া নিয়ম-কানুন বিস্তারিত
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলন না পরিণাম কি?
উত্তরঃ
১. ইসলামে কি কি আছে, তা বলা হয়েছে কুরআন এবং হাদীসে। কুরআনের কিছু অংশ মানা আর কিছু অংশ না মানা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। বিস্তারিত….
প্রশ্নঃ ইসলামী সংগঠন কি?
উত্তরঃ ইসলামের সঠিক আক্বীদা বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির উদ্দেশ্যে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দেয়া নিয়ম তথা ইসলামের নিয়ম-কানুন চালু করার জন্য কিছু সংখ্যক লোক একটি নির্দিষ্ট নেতৃত্বের অধীনে কাজ করার জন্য সংঘবদ্ধ হওয়ার নাম ‘ইসলামী সংগঠন’।
প্রশ্নঃ ইসলামী সংগঠন না করার পরিণাম কি?
উত্তরঃ
১. সংগঠনের না থাকলে ফরয লংঘন করা হয়, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা হয়।
২. সংগঠনের না থাকলে রাসূল সা. এর অনুসরণ করা হয়না।
৩. জামায়াতবদ্ধ না থাকলে সাহাবায়ে কিরামদের অনুসরণ হয়না।
৪. জামায়াত বিহীন মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু।
৫. জামায়াত থেকে দূরে থাকলে শয়তানের আক্রমণে পড়তে হবে।
প্রশ্নঃ ইসলামী সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তরঃ
১. ইসলামী সংগঠনে শামীল হওয়া আল্লাহর নির্দেশ, কুরআনের নির্দেশ।
২. ইসলামী সংগঠনে শামীল হওয়া নবী সা. এর নির্দেশ, রাসূল সা. এর সুন্নাহ।
৩. সাহাবায়ে কিরামরা রা. ইসলামী সংগঠনে শামীল ছিলেন এবং জামায়াতবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
৪. জামায়াত থেকে থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু।
৫. জামায়াতের উপর আল্লাহর রহমত থাকে।
৬. জামায়াতবদ্ধ থাকলে শয়তান সহজে আক্রমন করতে পারেনা।
প্রশ্নঃ আনুগত্য কি?
উত্তরঃ আনুগত্য অর্থ মান্য করা, মেনে চলা, আদেশ ও নিষেধ পালন করা। কুরআনে যাকে বলা হয়েছে ‘এত্বায়াত’। আনুগত্য করা ফরয। কুরআনে বলা হয়েছেঃ
“হে ঈমানদারগন! আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূল সা. এর আনুগত্য কর এবং তোমাদের মাঝে যারা উলিল আমর বা দায়িত্বশীল-তাদের আনুগত্য কর।
প্রশ্নঃ আনুগত্যের প্রয়োজনীয়তা বা শরয়ী মর্যাদা কি?
উত্তরঃ
আল্লাহর আনুগত্য ও রাসূল সা. এর আনুগত্য এবং ইসলামী সংগঠনের দায়িত্বশীলের আনুগত্য করা ফরয। একটি সংগঠন বিশেষ ভাবে ইসলামী সংগঠন সুন্দর এবং সুশৃংখল ভাবে পরিচালনার জন্য ঐ সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নিঃশর্ত এবং স্বতস্ফূর্ত আনুগত্যের বিকল্প নাই।
প্রশ্নঃ আনুগত্য না করার পরিণাম কি?
উত্তরঃ
১. আনুগত্য না করলে আমল নষ্ট হয়ে যায়।
২. আনুগত্য না করলৈ আল্লাহর সন্তুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে হয়্
৩. আনুগত্য করা হেদায়াত প্রাপ্তির পূর্বশর্ত।
৪. আনুগত্যহীন মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু।
৫. আনুগত্যহীন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে অক্ষম হবে।
প্রশ্নঃ আনুগত্যের সীমা কি?
উত্তরঃ
১. আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল সা. এর আনুগত্য হবে নিঃশর্ত ভাবে।
২. দায়িত্বশীলের আনুগত্য হবে কেবল সৎ কাজের বেলায়-গুনাহ বা সীমালংঘন মূলক কাজে আনুগত্য করা যাবেনা।
৩. দায়িত্বশীল পরিবর্তন হলে আনুগত্যের পরিবর্তন হবেনা।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের মৌলিক আক্বীদা কি?
উত্তরঃ
কুরআন সুন্নাহ পরিষদের মৌলিক আক্বীদা হচ্ছেঃ
لا إله إلا الله محمد رسول الله
“আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসূল।”
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের ৩দফা মৌলিক কর্মনীতি কি কি?
উত্তরঃ
কুরআন সুন্নাহ পরিষদের ৩দফা কর্মনীতি নিম্নরূপঃ
১. কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত কিংবা কোন কর্মপন্থা গ্রহণের সময় পরিষদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. এর নির্দেশ ও বিধানের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করবে।
২. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য কুরআন সুন্নাহ পরিষদ এমন েোন উপায় ও পন্থা অবলম্বন করবে না যা সততা ও বিশ্বাস পরায়ণতার পরিপন্থী বিংবা যার ফরে দুনিয়ায় ফিতনা ও ফাসাদ বা বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।
৩. পরিষদ সংগঠন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লোকদের মন মগজ ও চরিত্রের সংশোধন এবং পরিষদের অনুকূলে জনমত গঠন করবে।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের দুই দফা দাওয়াত কি কি?
উত্তরঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের দুই দফা দাওয়াত নিম্নরূপঃ
একঃ সাধারণ ভাবে সকল মানুষ ও বিশেষ ভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আল্লাহর দাসত্ব ও রাসূল সা. এর আনুগত্য করার আহবান।
দুইঃ ইসলাম গ্রহণকারী ও ঈমানের দাবীদার সকল মানুষের প্রতি বাস্তব জীবনে কথা ও কাজের গরমিল পরিহার করে খাঁটি ও পূর্ণ মুসলিম হওয়ার আহবান।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের ৩ দফা কর্মসূচী কি কি?
উত্তরঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের ৩ দয়া কর্মসূচী নিম্নরূপঃ
প্রথম দফাঃ দাওয়াত ও তাবলীগ-আহবান ও প্রচার।
“সর্বশ্রেনীর মানুষের নিকট ইসলামের প্রকৃতরূপ তুলে ধরে চিন্তার বিশুদ্ধিকরণ ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের অনুসরণ করা অনুভূতি জাগ্রত করা।”
দ্বিতীয় দফাঃ তানযীম ও তারবিয়াত-সংগঠন ও প্রশিক্ষণ।
“ইসলামকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে সংগঠিত করা এবং তাদেরকে ইসলামী জ্ঞান প্রদান ও আদর্শ চরিত্রবান রূপে গড়ে তুলে জাহেলিয়াতের যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করার যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী রূপে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দান করা।
তৃতীয় দফাঃ ইসলাহে মুয়া’শারা-সমাজ সংস্কার ও সেবার কাজ।
“ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পূণর্গঠন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন ও দূঃস্ত মানবতার সেবা করা।”
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের কর্মীর কাজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ কর্মীর কাজ ৫টি। যথাঃ
১. দাওয়াতী কাজ করা।
২. মাসিক এয়ানত দেয়া।
৩. বৈঠকে উপস্থিত হওয়া।
৪. সামাজিক কাজ করা।
৫. ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ ও পেশ করা।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের সদস্য হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের সদস্য হওয়ার শর্ত ৮টি। যা নিম্নরূপঃ
১. ইসলামের আক্বীদা-বিশ্বাসকে নিজের আক্বীদা-বিশ্বাস হিসাবে স্বীকার করেন।
২. পরিষদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাখ্যাসহ বুঝে নেয়ার পর স্বীকার করেন যে, ইহাই তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
৩. গঠনতন্ত্র পাঠ করার পর এই ওয়াদা করেন যে, তিনি এর অনুসরণে পরিষদের নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলবেন।
৪. শরীয়াতের নির্ধারিত ফরয ও ওয়াজিব সমূহ রীতিমত আদায় করেন এবং কবীরা গুনাহ্ হতে বিরত থাকার চেষ্টা করেন।
৫. আল্লাহর নাফরমানীর পর্যায়ে পড়ে, উপার্জনের এমন কোন উপায় গ্রহণ না করেন।
৬. হারাম পথে অর্জিত কিংবা হকদারের হক নষ্ট করা কোন সম্পত্তি তাঁর দখলে থাকলে তা পরিত্যাগ করেন বা হকদারের হক ফেরত দেন।
৭. এমন কোন পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক না রাখেন, যার মূলনীতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পরিষদের আক্বীদা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কর্মনীতির পরিপন্থী।
৮. পরিষদের সাংগঠনিক দায়িত্বশীলদের দৃষ্টিতে সদস্য হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হওয়া।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের দায়িত্বশীল নির্বাচন কালে কোন কোন বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়?
উত্তরঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় পরামর্শ সভা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ, শাখা সভাপতি, শাখা পরামর্শ সভা ও শাখা কর্মপরিষদ এবং অন্যান্য যে কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন বা নিযুক্তি কালে উক্ত ব্যক্তির যেসব বিষয়ের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, তা নিম্নরূপঃ
১. দ্বীনি ইলম।
২. আল্লাহ ভীতি।
৩. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য।
৪. রাসূল সা. এর প্রতি আনুগত্য।
৫. দেশপ্রেম।
৬. সাংগঠনিক প্রজ্ঞা।
৭. সাংগঠনিক শৃংখলা বিধানের যোগ্যতা।
৮. বিশ্লেষণ শক্তি।
৯. উদ্ভাবন শক্তি।
১০. দূরদৃষ্টি।
১১. দৃষ্টির প্রশস্ততা।
১২. অনড় মনোবল।
১৩. কর্মের দৃঢ়তা।
১৪. সুন্দর ব্যবহার।
১৫. আমানতদারী।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের কেন্দ্রীয় পরামর্শ সভা কিভাবে গঠিত হয়?
১. শাখা সমূহ থেকে নির্ধারিত সংখ্যক প্রতিনিধি শাখার সদস্যদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হোন। কেন্দ্রীয় ইউনিটে কর্মরত সদস্যগন একটি শাখার মতো তাদের মধ্য থেকে নির্ধারিত প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন।
২. প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত পরামর্শ সভার সদস্যগন পুরো কাতারের বাকী সদস্যদের মধ্য থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রথম পয্যায়ে নির্বাচিত পরামর্শ সভার সদস্য সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ পরিমাণের সদস্যদের পরামর্শ সভার সদস্য নির্বাচিত করবেন।
৩. কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়োজন মনে করলে সারা দেশের সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৫জনকে পরামর্শ সভার সদস্য হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করেন।
৪. কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য যারা নির্বাচিত হোন, তাদের মধ্য থেকে যদি কেউ পরামর্শ সভার সদস্য মনোনীত বা নির্বাচিত না হোন, তাহলে তারা পদাধিকার বলে পরামর্শ সভার সদস্য বলে গন্য হোন।
৬. কেন্দ্রীয় সভাপতি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় পরামর্শ সভার সভাপতি হোন।
** শাখা পর্যায়ে নির্বাচিত কোন পরামর্শ সভার সদস্য যদি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মনোনীত হোন, তাহলে সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পদটি শুন্য হয়ে যায়। সেখানে উপ নির্বাচনের মাধ্যমে শুন্যপদ পূরণ করা হয়।
** পরামর্শ সভার নির্বাচিত কোন সদস্যের পদ শুন্য হলে, শুন্য আসনে ২মাসের মধ্যে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
** পরামর্শ সভার মনোনীত কোন সদস্যের পদ শুন্য হলে, সে পদে সভাপতি মনোনয় দিতে বাধ্য নন।
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের শাখা পরামর্শ সভা কিভাবে গঠিত হয়?
উত্তরঃ
** কোন শাখায় কতজন পরামর্শ সভার সদস্য হবেন, তা কেন্দ্রীয় পরামর্শ সভা নির্ধারণ করে।
** সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে পরামর্শ সভার সদস্যরা নির্বাচিত হোন।
** শাখা সভাপতি প্রয়োজন মনে করলে শাখা পরামর্শ সভার নির্বাচিত সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে নির্বাচিত সদস্যদের এক পঞ্চমাংশের বেশী নন, এমন সংখ্যক সদস্যকে শাখা পরামর্শ সভার সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দিতে পারেন।
** শাখা কর্মপরিষদ সদস্যদের মধ্য থেকে যদি কেহ নির্বাচিত বা মনোনীত না হোন, তাহলে তিনি পদাধিকার বলে শাখা পরামর্শ সভার সদস্য বলে গন্য হবেন।
** শাখা পরামর্শ সভার কোন নির্বাচিত সদস্যের পদ শুন্য হলে তা উপ নির্বাচনের মাধ্যমে পুরণ করা হয়।
** শাখা পরামর্শ সভার কোন মনোনীত সদস্যের পদ শূন্য হলে শাখা সভাপতি সে পদে মনোনয়ন দিতে বাধ্য নন।
প্রশ্নঃ জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী দলের মাঝে মৌলিক পার্থক্য কি কি?
প্রশ্নঃ তাসাউফ বলতে কি বুঝায়? তাসাউফ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাসাউফ বর্তমান দুনিয়ার একটি পরিচিত পরিভাষা। ইলমে তাসাউফ নামে পরিচিত শব্দটাকে কুরআনে বলা হয়েছে ‘তাযকিয়ায়ে নফস’। হাদীসে যাকে বলা হয়েছে….. বিস্তারিত
প্রশ্নঃ বাইয়াত কি? বাইয়াত বিহীন জীবনের পরিণাম কি?
উত্তরঃ
বাইয়াত মানে বেচা-কেনা, লেন-দেন, খরিদ-বিক্রি করা। আরবী রাইয়াত শব্দটি চূক্তি, শপথ, অঙ্গিকার, শ্রদ্ধা প্রদর্শণ, আনুগত্য স্বীকার ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিজের জীবনকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালনার লক্ষ্যে ইসলামী সংগঠনের নিকট নিজের ইচ্ছা, জান, মাল সবকিছু সপোর্দ করে দেয়ার চূক্তি বা শপথই হলো বাইয়াত। এ বাইয়াত মুমিনের জীবনের অপরিহার্য্য বিষয়। কেননা রাসূল সা. বলেছেনঃ من مات وليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية “যে ব্যক্তি বাইয়াতের বন্ধন ছাড়া মারা গেলো, সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করলো।”
আর কুরআনে বাইয়াত গ্রহণকারী তথা বেচাকেনা চূক্তি সম্পাদনকারীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ “সুতরাং তোমরা আল্লাহর পথে যে বেচা-কেনার কারবার করেছো, সে বিষয়ে খুশী হয়ে যাও।”
প্রশ্নঃ আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়ার শরয়ী মর্যাদা কি? এ বিষয়ে কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ
আল্লাহর পথে দাওয়াত প্রদান ইসলামী শরীয়াতে ফরয। কুরআনে হাকীমে বলা হয়েছেঃ ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
“ডাক তোমার রবের পথের দিকে, হিকমাত ও সদূপদেশ সহ। আর তাদের সাথে আলোচনা কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব, তিনি জানে যে, কে তার পথে ছেড়ে বিপথগামী হয় এবং তিনি জানে কে রয়েছে সৎপথে।” (সূরা আন-নাহলঃ ১২৫)
প্রশ্নঃ ইসলামী সংগঠনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে কুরআনের একটি আয়াত অর্থ সহ উপস্থাপন করুন।
“মুমিনদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। ইহাই তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবগত।”
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য নূন্যতম ব্যক্তিগত গুনাবলী কি কি?
উত্তরঃ
ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য নূন্যতম ব্যক্তিগত গুনাবলী মোট ৪টি। আর তা হলোঃ
১. দ্বীনের ইলম বা ইসলামের যথার্থ জ্ঞান।
২. ইয়াকীন বা ইসলামের প্রতি অবিচল বিশ্বাস।
৩. আমল বা চরিত্র ও কর্ম।
৪. নিয়ত বা দ্বীন হচ্ছে জীবনোদ্দেশ্য।
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য নূন্যতম দলীয় গুনাবলী কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য নূন্যতম দলীয় গুনাবলী মোট ৪টি। আর তা হলোঃ
১. ভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসা।
২. পারস্পরিক সম্পর্ক।
৩. সংগঠন ও শৃংখলা বা টীম স্পীরিট।
৪. সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা বা মুহাসাবা।
প্রশ্নঃ ইসলাম প্রচার, ইসলামী দাওয়াত সম্প্রসারণ ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাফল্য অর্জনের জন্য যে সব গুণ থাকা উচিত, যাকে আমরা পূর্ণতা দানকারী গুনাবলী নামে আখ্যায়িত করে থাকি। তা কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
পূর্ণতা দানকারী গুনাবলী মোট ৫টি। আর তা হলোঃ
১. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ও আন্তরিকতা।
২. আখেরাতের চিন্তা।
৩. চরিত্র মাধুর্য্য।
৪. ধৈর্য্য।
৫. প্রজ্ঞা।
প্রশ্নঃ ইসলাম মানবতাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড নৈতিক মানে পৌছাতে চায়। এর জন্য ইসলামী নৈতিকতার ৪টি স্তর রয়েছে। তা কি কি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করুন।
“বলুন, যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী ও তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ ও ব্যবসা-বানিজ্য-যা অচল হয়ে যাবে বলে তোমরা ভয় করো, তোমাদের বাড়ীঘর সমূহ-যাতে তোমরা কামনা করো, যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল সা. ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশী ভালবাসো, তাহলে তোমরা আল্লাহর ফায়সালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো, আল্লাহ কখনো ফাসেকদেরকে হেদায়াত করেন না।”
প্রশ্নঃ হালাল নয় এমন কয়েকটি আয়ের উৎসের উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ
হালাল নয় এমন আয়ের উৎস সমূহঃ
১. হারাম বস্তুর ব্যবসা বা নিষিদ্ধ দ্রব্যের ব্যবসা।
২. জোরপূর্বক, চুরি বা ধোঁকার মাধ্যমে রোজগার।
৩. সূদী ব্যবসা অথবা এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর মাধ্যমে উপার্জন, যাতে সূদের হিসাব রাখতে হয়, সূদের এগ্রিমেন্ট লিখতে হয় বা সূদের এগ্রিমেন্টের সাক্ষী থাকতে হয়।
প্রশ্নঃ লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং লেনদেনে অস্বচ্ছতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য সাহাবায়ে কিরাম রা. গন যে আর্থিক কুরবানী প্রদান করেছেন, তার যে কোন একটি উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ ইসলামী আন্দোলনকে তার কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতেসেই আন্দোলনের কর্মীদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্বনিম্ন কতটুকু আর্থিক কুরবানী প্রদান করা প্রয়োজন?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ শিক্ষা বৈঠক ও শিক্ষা শিবিরের মধ্যে পার্থক্য কি? শিক্ষা বৈঠক আর শিক্ষা শিবিরে কি শিখানো হয়?
উত্তরঃ
শিক্ষা বৈঠক কয়েক ঘন্টার জন্য হয়ে থাকে। শিক্ষা শিবির এক বা একাধিক দিন ব্যাপী হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে জামায়াতবদ্ধ জিন্দেগীর গুরুত্ব কি?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ ‘সদস্য’ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক স্তর। একজন কর্মী ভাই/বোনের সদস্য হওয়া জরুরী কি না? জরুরী হলে কেন?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের বাহিরে অবস্থান করে দ্বীন কায়েমের দায়িত্ব পালন করা যাবে কি না?
উত্তরঃ
কুরআন সুন্নাহ পরিষদ “আল জামায়াত” নয়। বিধায় জান্নাতে যাওয়ার জন্য বা দ্বীন কায়েমের জন্য কুরআন সুন্নাহ পরিষদেই শামীল হতে হবে-এটা শর্ত নয়। কিন্তু দ্বীন কায়েমের জন্য আপনাকে আমাকে সর্বোত্তম সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে সেই সংগঠনের দায়িত্বশীলের বা আমীরের আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। এ প্রসংগে উস্তাদ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী অত্যন্ত চমৎকার তিনটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেনঃ
একঃ আপনার মন যদি সাক্ষ্য দেয় যে, দাওয়াত, আকীদা-বিশ্বাস, মূল লক্ষ্য, জামায়াতী নিয়ম-শংঙ্খলা, কর্মনীতি ইত্যাদি সব কিছুই খালিস ইসলাম সম্মত এবং কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিতে মুসলিম জাতির যা কর্তব্য, আমরা ঠিক তা-ই সম্পাদন করছি, তাহলে আমাদের সাথে এই কাজে আপনারা শামিল হন।
দুইঃ যদি কোন কারণশত আমাদের কাজে আপনারা সন্তুষ্ট হতে না পারেন এবং অন্য কোন দলকে ইসলামী উদ্দেশ্যে খাঁটি ইসলামী পন্থায় কাজ করতে দেখেন, তাহলে তাতেই শামিল হয়ে যান। কেন না, মাত্র দেড়খানা ইট দ্বারা মসজিদ নির্মানের শখ আমাদের নেই।
তিনঃ যদি আমাদের বা অন্য দলের উপর আপনাদের আস্থা না থাকে, তাহলে ইসলামী দায়িত্ব পালন করা তথা দীন-ইসলামকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করা এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে তার সত্যতার সাক্ষ্য দান করার উদ্দেশ্যে আপনারা নিজেরাই অগ্রসর হয়ে খাঁটি ইসলামী পন্থায় একটি সুসংহত জামায়াত গঠন করুন।