ইসলামঃ
– ইসলাম আরবী শব্দ। যার অর্থঃ আত্মসমর্পণ করা, কোন কিছু মাথা পেতে নেয়া। নিজের ইচ্ছা আর মর্জি অনুযায়ী না চেল আল্রাহর হুকুম মতে চলার জন্য তার নিকট আত্মসমর্পন করার নাম ইসলাম।
– আরবীতে ইসলাম বলতে বুঝায “আনুগত্য ও বাধ্যতা”। ইসলামের লক্ষ্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তাঁর বাধ্যতা স্বীকার করে নেয়া।
– যিনি তৈরী করেছেন, তিনি চলার জন্য একটা নিয়ম দিয়েছেন। সেই নিয়মের নাম ইসলাম।
– মালিকের নিয়ম মানলে শান্তি আসবে–তাই এর নাম ইসলাম।
– মালিকের নিয়মের কাছে আত্ম সমর্পন করতে হয়–মাথা পেতে দিতে হয়, তাই এর নাম ইসলাম।
– ইসলামী আদর্শ কবুলের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একটা চূক্তিতে আবদ্ধ হতে হয়ঃ
﴿إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
আন্দোলনঃ
– حركة, হরকত করা–নড়াচড়া করা, MOVEMENT,
– আন্দোলনঃ দোলন থেকে যার উৎপত্তি। দোলন মানে নড়াচড়া। আন্দোলন মানে নড়াচড়া, অশান্তি, অশৃংখলা, অব্যবস্থাপনা। একটি সূদূর প্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সাময়িক নড়াচড়া, অশান্তি, অশৃংখলা, অব্যবস্থাপনা হলো আন্দোলন।
– সাময়িক অশান্তি।
– শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাময়িক অশান্তি।
– পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, যেখানেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেখানে এর আগে সাময়িক অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।
– একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করে অন্য ব্যবস্থা কায়েমের জন্য পরিচালিত সামগ্রিক তৎপরতাই আন্দোলন।
– একটা দেশের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত সুসংঘবদ্ধ ও সুসংগঠিত প্রচেষ্টার নাম আন্দোলন।
ইসলামী আন্দোলনঃ
– যাকে আরবীতে বলা হয়ঃ الحركة الاسلامية
– আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য যে নিয়ম–কানুন দিয়েছেন, সেই নিয়ম–কানুন সমাজে চালু করা বা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সব কাজ করতে হয়, তার নাম ইসলামী আন্দোলন।
– আল্লাহর পথে চূড়ান্ত ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোই ইসলামী আন্দোলন।
– ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ আন্দোলন। মানুষের গোলামী হতে মুক্ত করে আল্লাহর গোলামী ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে মানুষকে সুখী সুন্দর জীবন যাপনের সুযোগ করে দেয় ইসলাম।
– ইসলামী আন্দোলনের কুরআনী নাম الجهاد في سيل الله বা আল্লাহর পথে জিহাদ।
ইসলামী আন্দোলন জিনিসটা কি?
– আপনি আপনার বাড়ীতে ছিলেন। হঠাৎ করে কোন এক ঘুর্ণিঝড়ে আপনার সব লন্ডভন্ড। আপনি বাড়ী হারিয়ে ফেলে চলে গেলেন দূরদেশে।আপনার বাড়ীর এড্রেস আপনার জানা আছে। কিন্তু ম্যাপ নাই। কিভাবে যাবেন জানেন না।
– এমন অবস্থায় কেউ একজন আপনাকে একটা ম্যাপ দিল। সাথে একজন গাইড দিল। ম্যাপের মাঝে শুধু রেখা আছে। সেই রেখা ধরে আপনি পথ চলা শুরু করলেন। কিন্তু পথের মাঝে আছে হাজার প্রতিবন্ধকতা। তাই গাইড আপনাকে বাতলে দিল প্রতিবন্ধকতাটা কি? দূর পথ ফাঁড়ি দিতে কি কি সমস্যায় পড়বে? সেই সব সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা সমূহ মাড়িয়ে মঞ্জিলে পৌছতে পারবে। পথের মাঝে এমন ঠিকানা পাবে, যা দেখে তুমি তোমার বাড়ীর কথা ভূলে যাবে। মনে হবে বাড়ীর চেয়ে পথের ঠিকানায়ই সুখ বেশী–তাই তুমি বাড়ীর কথা ভূলে পথেই ঠিকানা খোলে বসবে। এমন অবস্থা থেকে সতর্ক করবে তোমার গাইড। তুমি পথের মাঝে এমন সংগী পাবে, যে তোমাকে তোমার বাড়ীতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ভূলিয়ে দেবে। সেই কুচক্রী থেকে বাঁচিয়ে তোমাকে তোমার পথযাত্রার সম্পর্কে সতর্ক করবে এই গাইড।
– তুমি ছিলে জান্নাতে। কোন কারণে তুমি এখন দুনিয়ায়। দুনিয়া থেকে জান্নাতে যেতে এখন তোমার সফর পিরিওড। তোমার জান্নাতে যাওয়ার জন্য ম্যাপ অব জান্নাহ হলোঃ কুরআন– ذلك الكتاب لا ريب فيه আর গাইড হলেনঃ মুহাম্মদ সা.
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
– যাত্রা পথে সুখের ঠিকানাঃ وَاعْلَمُوا أَنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ وَأَنَّ اللَّهَ عِندَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ
– যাত্রা পথে সংগী–শয়তানঃ ٱلَّذِى يُوَسْوِسُ فِى صُدُورِ ٱلنَّاسِ
ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসঃ
– আদম আ. থেকে এর শুরু আজ অবধি একই আন্দোলন।
– আদম আ. থেকে একই কর্মসূচী ছিলনা।
– সকলের প্রতি ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচী ছিলঃ আল্লাহর নির্ভেজাল গোলামী এবং আল্লাহর খলিফা হিসাবে দায়িত্ব পালন।
– দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী আন্দোলনঃ এটা ছিল নূহ, ইব্রাহীম, মুসা, ঈসা এবং মুহাম্মদ সা. এর প্রতি।
﴿شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ ۚ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ۚ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ﴾
– তাদের আন্দোলনের মূল মন্ত্রঃ দুনিয়ার সবকিছু আল্লাহর রঙে রঙিন করা।
“আল্লাহর রঙে করিয়া রঙিন, সাজাবো এ ধরণীর সকল কিছু,
বিলাবো জীবন, অর্থ সম্পদ, রইবোনা পড়ে কাহারো পিছু।”
﴿صِبْغَةَ اللَّهِ ۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً ۖ وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ﴾
বলোঃ আল্লাহর রঙ ধারণ করো! আর কার রঙ তার চেয়ে ভালো? আমরা তাঁরই ইবাদতকারী।
(সূরা বাকারঃ ১৩৮)
রাসূল সা. এর ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচীঃ
– রাসূল সা. সারা জীবন যে কাজ গুলো করেছেন, তা করার নাম ইসলামী আন্দোলন।
– রাসূল সা. সারা জীবন যে কাজ থেকে বিরত থেকেছেন, তা থেকে বিরত থাকার নাম ইসলামী আন্দোলন।
– রাসূল সা. সারা জীবন যা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন, সে জিনিস বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করার নাম ইসলামী আন্দোলন।
– মুহাম্মদ সা. সারা জীবন যা বাস্তবায়িত হতে বাঁধরা সৃষ্টি করেছেন, সে সব জিনিস বাস্তবায়নের বাঁধা প্রদানের নাম ইসলামী আন্দোলন।
– আমরা ইসলামী আন্দোলন করলে, আমাদের আন্দোলন হতে হবে রাসূর সা. এর ইসলামী আন্দোলনের মতো। নবী সা. বলেছেনঃ من عملا عملا وليس عليه أمرنا فهو رد
– রাসূল সা. এর যুগের ইসলামী আন্দোলন ছিল ৫টি কাজের সমন্বয়ে। আর কিয়ামত অবধি সে ইসলামী আন্দোলন পরিচালিত হবে, তার মাপকাটি হলো রাসূল সা. এর ইসলামী আন্দোলন। তাই তার কাজ হবে ঐ ৫টি। আর তা হলোঃ
১. দাওয়াত ইলাল্লাহ।
§ দাওয়াত ইলাল্লাহ সম্পর্কে কুরআনঃ
ক. কুরআনের সরাসরি নির্দেশঃ সূরা আন নাহলঃ ১২৫
﴿ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ﴾
খ. রাসূলের কাজ ও পরিচয় বুঝাতেঃ সূরা ইউসুফঃ ১০৮
﴿قُلْ هَٰذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ﴾
গ. সূরা আল আহযাবঃ ৪৫–৪৬
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا﴾ ﴿وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا﴾
ঘ. দায়ীর প্রশংসা করেঃ হা–মীম–আস সিজদাঃ ৩৩
﴿وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ﴾
ঙ. উম্মতে মুহাম্মদীর দায়িত্ব ও কর্তব্য ব্যাখ্যা করেঃ সূরা আলে ইমরানাঃ ১০৪
﴿وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ﴾
§ সকল নবীদের দাওয়াতের সুর ও আবেদন একই ধরণের। যেমনঃ
১. সবাই তাওহীদের দাওযাত দিয়েছেন, গাইরুল্লাহর সার্বভৌমত্ব পরিহারের আহবান করেছেন।
২. সমাজের খুটিনাটি সমস্যার প্রসংগে না গিয়ে আল্লাহর আইন না থাকার যে সব বড় বড় সমস্যায় মানুষ জর্জরিত, সেগুলোর কড়া সমালোচনা করেছেন।
৩. দাওয়াত কবুল না করার পরিণাম সম্পর্কে দুনিয়া ও আখেরাতে যা হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক ও ভীতি প্রদার্শণ করেছেন।
§ নবীদের দাওয়াতের মেজাজ গভীর ভাবে অনুধাবন ও অনুশীলন করলে বুঝা যায়, সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থা বদলের আপোষহীন বিপ্লবী ঘোষনা। আর এজন্য প্রতিষ্ঠিতদের সাথে সংঘাত অনিবার্য।
২. শাহাদাত আলান নাস।
§ নবীর পরিচয় তিনি দায়, আবার তিনির অন্য পরিচয় তিনি দাওয়াতের বাস্তব নমূনা, মূর্ত প্রতীক রূপে শাহেদ এবং শহীদ।
§ কুরআনের বক্তব্যঃ
মুজ্জাম্মিলঃ ১৫
﴿إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا﴾
আল আহযাবঃ ৪৫
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا﴾
আল বাকারাঃ ১৪৩
﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا﴾
আল মায়িদাঃ ৮
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ﴾
আল বাকারাঃ ১৪০
﴿وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَادَةً عِندَهُ مِنَ اللَّهِ﴾
§ শাহাদাত মূলত দাওয়াতের বাস্তব রূপ।
§ নবী রাসূলরা দুইটি উপাযে দাওয়াতের দায়িত্ব পালন করেছেনঃ
১. মৌখিক সাক্ষ্য।
২. আমলী সাক্ষ্য।
§ নবী সা. মৌখিক দাওয়াতের সাথে সাথে শুহাদা আলান নাস এর ভূমিকা পালন করেছেন।
§ সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন দায়ী ইলাল্লাহর দাওয়াতের বাস্তব নমূনা। তাদের নমূনা ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন সূরা ফুরকানের শেষ ও সূরা মুমিনুনের প্রথম রূকুতে।
§ ইসলামী আন্দোলনে শাহাদাত আলান নাস এর গুরুত্ব বেশী। কেননা, এ ধরণের বাস্তব সাক্ষ্যদানকারী একদল তৈরী হলে পরে আল্লাহর সাহায্য ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজের সাফল্য নির্ভর করে।
৩. ক্বিতাল ফী সাবিলিল্লাহ।
§ দায়ী যখন আমলী শাহাদাত প্রদানে সক্ষম হয়, তখন দায়ীকে দাওয়াত থেকে বিরত রাখতে, আওয়াজকে স্তব্দ করে দিতে জুলুম নির্যাতন ও লোভ প্রলোভন যখন হার মানে, সমাজের মানুষের উপর যখন দায়ীর দাওয়াত ফেলে নৈতিক প্রভাব।
§ কায়েমী স্বার্থবাদীরা তখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে দায়ীকে নিশ্চিহ্ন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়্
§ মক্কী জিন্দেগীতে প্রতিশোধ নেয়ার সীমিত অনুমতি দেয়া হয়েছে। সূরা আন নাহল ও সূরা আশ শুরার মাধ্যমে।
§ মাদানী জিন্দেগীতে সূরা হজ্জের মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়ার এবং সূরা মুহাম্মদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। বিধায় সূরা মুহাম্মদের আরেক নাম সূরা কিতাল।
§ ইসলামী আন্দোলনে এ সংঘাত অনিবার্যঃ সূরা আন নিসাঃ ৭৬
﴿الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا﴾
§ ইসলামী সমাজ পরিচালনার লোক তৈরী, ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া, আমলী শাহাদাতের মাধ্যমে জনগনের মন জয় এবং তাদের সাথী করতে পারলে আন্দোলনের সংঘর্ষের স্তর অতিক্রম করে সাফল্যের দ্বার প্রান্তে উপনীতি হতে হয়।
§ কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ সম্পর্কে কুরআনঃ
ক. আল বাকারাঃ ১৯৩
খ. আল আনফালঃ ৩৯
গ. আত তাওবাঃ ২৯
ঘ. আত তাওবাঃ ১১১
§ কেতাল ফি সাবিলিল্লাহ আল কুরআনের ইক্বামতে দীনের একটি পরিভাষা। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠা ও যাবতীয় ফেতনা ফাসাদের মূলোৎপাটনের জন্য।
৪. ইক্বামাতে দ্বীন
§ ইকামাতে দ্বীন অর্থ দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা। আর দ্বীন কাযেম মানে কোন জনপদে দ্বীন ইসলাম বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠা হওয়া। দ্বীন পূর্ণ অনুসরণে কোন বাঁধা না থাকে।
§ যেখানে কুরআনের আইন কায়েম নাই, সেখানে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আইনের কারণে অনেক বিষয় আমল করা সম্ভব হয়না।
§ শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলাম বিরোধী আদর্শ শিখালে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার মন হয়না।
§ যারা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তারা ইসলামী আদর্শের বিরোধী হলে সে সমাজের মানুষ ইসলাম অনুসরণের সুযোগ পায় না।
§ ব্যক্তি জীবনে ব্যক্তিগত ভাবে দ্বীন যতটুকু মানা হয়, তা পরিপূর্ণ দ্বীনের তুলনায় কিছুই নয়।
§ ব্যক্তিগত ভাবে সামগ্রিক ও পরিপূর্ণ দ্বীন তো দূরের কথা আনুষ্ঠানিক ইবাদত গুলোও করা সম্ভব নয়। যেমনঃ
Ø নামায কায়েম হয় না, পড়া হয়।
Ø যাকাত আদায় করা হয় না।
Ø রোযার পরিশে হয়না রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া।
Ø রাষ্ট্রীয় বাধ্যবাধকতার কারণে হজ্জের সুযোগ হয়না।
Ø সমাজ জীবনের বিভিন্ন পর্যায় আল্লাহর আনুগত্য করা সম্ভব হয়না।
Ø অর্থনীতিতে সুদ মুক্ত থাকা যায়না।
Ø সমাজ জীবনের বেহায়াপনার জেনা চূরি থেকে বাঁচা সম্ভব হয়না।
Ø দ্বীন এসেছে আল্লাহ পক্ষ থেকে কায়েম হবার জন্য। যেখানে দ্বীন আনুষ্ঠানিক ও সামগ্রিক দিক ও বিভাগে আমল করা যায়, সেখানেই কেবল দ্বীন কায়েম আছে বলে মনে করতে হবে।
Ø নবী রাসূলের দায়িত্ব ছিল দ্বীন কায়েম করা। সূরা আশ শুরাঃ ১৩
﴿شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ ۚ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ۚ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ﴾
§ এভাবে দ্বীন কায়েমের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালানোই ইসলামী আন্দোলনেরঃ
১. জাগতিক লক্ষ্য।
২. আখেরাতের লক্ষ্য হলোঃ আল্লাহর সন্তুষ্ঠি ও নাজাত।
৫. আমর বিল মারুফ ওয়া নাহী আনিল মুনকার।
§ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ দেয়ার পর্যায়ঃ
১. সাধারণ ভাবে গোটা উম্মতে মুহাম্মদীর দায়িত্ব।
২. সরকারী প্রশাসনের মাধ্যমে এ কাজ আনজমা দেয়া শরীয়াতের প্রধান স্পিরিট।
§ উপরোক্ত সবক’টি কাজের সমষ্টির নাম ইসলামী আন্দোলন।
ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ
১. ইসলামী আন্দোলন আল্লাহর নির্দেশ।
﴿وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ ﴾
“আল্লাহর পথে জিহাদ করো যেমন জিহাদ করলে হক আদায় হয়। তিনি নিজের কাজের জন্য তোমাদেরকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা আরোপ করেননি।” (হাজ্জঃ ৭৮)
﴿انفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
২. ইসলামী আন্দোলন রাসূলের সুন্নাহ।
– রাসূলের সাথে যারা ছিলেন, তারা ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ছিলেন।
– রাসূলের সাথে থেকে যারা কাজ করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা নামায পড়ার জন্য নির্যাতিত হননি।
– রাসূলের সাথে যারা নামায পড়তেন, তাদের মাঝে একদল মানুষকে বলা হয়েছেঃ
﴿وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ﴾
– ইসলামী আন্দোলনে যারা শামীল হননি, তারা মুনাফিক।
৩. ইসলামী আন্দোলন নবীওয়ালা কাজ।
﴿شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ ۚ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ۚ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ﴾
৪. ইসলামী আন্দোলন ঈমানের দাবী।
﴿إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
৫. ইসলামী আন্দোলন ওজন ওয়ালা কাজ।
﴿أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَجَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ لَا يَسْتَوُونَ عِندَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ﴾
﴿الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللَّهِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ﴾
৬. ইসলামী আন্দোলন আর্ত মানবতার মুক্তির জন্য।
﴿وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا﴾
৭. ইসলামী আন্দোলন জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য।
﴿إِلَّا تَنفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾
“তোমরা যদি না বের হও তাহরে আল্লাহ তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের জায়গায় আর একটি দলকে উঠাবেন। আর তোমরা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তিনি সব জিনিসরে উপর শক্তিশালী।” (তাওবাঃ ৩৯)
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ تِجَارَةٍ تُنجِيكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ﴾ ﴿تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
“হে ঈমান আনয়নকারীগন! আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি ব্যবসায়ের সন্ধান দেবো, যা তোমাদেরকে কঠিন আযাব থেকে মুক্তি দেবে? তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং আল্লাহর পথে অর্থ–সম্পদ ও জান–প্রাণ দিয়ে জিহাদ করো। এটাই তোমাদের জন্য অতীব কল্যাণকর–যদি তোমরা তা জানো” (আস সাফঃ ১০–১১)
৮. ইসলামী আন্দোলন জান্নাত পাওয়ার জন্য।
﴿يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
৯. ইসলামী আন্দোলন গোনাহ মাফের জন্য।
﴿يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
১০. ইসলামী আন্দোলন দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য।
﴿هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا﴾
﴿وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ﴾
১১. ইসলামী আন্দোলন বাইয়াতী জিন্দেগী।
১২. ইসলামী আন্দোলন-আল্লাহর প্রতি ঈমানের প্রমাণঃ
﴿الم﴾ ﴿أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ﴾ ﴿وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۖ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ﴾
৯. ইসলামী সকল কাজের বড় কাজঃ
﴿قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ﴾
হে নবী! বলে দাও, যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান ও তোমাদের ভাই তোমাদের স্ত্রী ,তোমাদের আত্মীয় -স্বজন , তোমাদের উপার্জিত সম্পদ , তোমাদের যে ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়ার ভয়ে তোমরা তটস্থ থাক এবং তোমাদের যে বাসস্থানকে তোমরা খুবই পছন্দ কর-এসব যদি আল্লাহ ও তার রসূল এবং তার পথে জিহাদ করার চাইতে তোমাদের কাছে বেশী প্রিয় হয়, তাহলে আল্লাহর ফায়সালা তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর আল্লাহ ফাসেকদেরকে কখনো সত্য পথের সন্ধান দেন না৷
যারা ইসলামী আন্দোলনে শামীল হয়েছেনঃ
– তাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, শামীল হলেই তাদেরকে পাশমার্ক দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের টিকেট ধরিয়ে দেয়া হবে না। বরং পরীক্ষা দিতে হবে।
﴿أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُوا وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوا مِن دُونِ اللَّهِ وَلَا رَسُولِهِ وَلَا الْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ﴾
“তোমরা কি মনে করো যে, তোমাদের ছেড়ে দেয়া হেব এমনি, যতক্ষণ না আল্লাহ জেনে নেবেন তোমাদের কে যুদ্ধ করেছে এবং কে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ও মুসলমানদের ব্যতিত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে। আর তোমরা যা করো, সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত। (তাওবাঃ ১৬)
– যারা পরীক্ষা দেবেন, তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ইমারাতের সুরম্য ইট হবেন, না ফাউন্ডেশনের কংক্রিট হবেন।
– যারা কংক্রিট হবেন, তারা হলেন জীবিত, আর যারা সুরম্য ইট হবেন, তারা মৃত।
– পরীক্ষা যারা দেবেন, তাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, পরীক্ষা হবে কিসের ভিত্তিতেঃ
﴿وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ﴾
“আর আমরা অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো, কিছু ভয় দ্বারা, ক্ষুধা দ্বারা, আর মাল সম্পত্তি, প্রাণ ও ফসলের ক্ষতি সাধন দ্বারা। আর হে নবী, সবরকারীদের সু–সংবাদ দিন।”
– ইসলামী আন্দোলনের পরীক্ষার্থী হওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতাঃ এসএসসি পরীক্ষা বা প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
– আমরা যে ইসলামী আন্দোলন করি, সে আন্দোলনের প্রবেশিকা হলো সদস্য শপথ নেয়া।
– সেই সদস্য শপথ নেয়ার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্যতা সম্পন্ন বলে তালিকাভূক্ত হতে হয়।
Alhamdulillah,
Khub sundor alosona.
May Allah bless you
fine